সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হযরত কদম আলী মস্তান (রহঃ)

দয়াল বাবা কদম আলী মস্তানের জন্ম বিক্রমপুরের ডহরী নওপাড়া। আস্তানা ছিল মরহুম ছত্তর বেপারী সাহেবের বাড়ি তৎকালীন দিঘলী বাজারের পূর্ব পাশে। এই পাগলের আবির্ভাব বিক্রমপুরের মানুষের জন্য ছিল আশির্বাদের মতো। বিভিন্ন রোগ আর মহামারিতে বিক্রমপুরের মানুষেরা ছিলো দিশেহারা। ভাল ডাক্তার পাওয়া যায় না, ঔষধ কেনার পয়সা জোটেনা। কলেরা, যক্ষা, বসন্তে ভরে গেছে এলাকা। মানুষ দিশেহারা। কি ভাবে রক্ষা পাবে এ থেকে?

এমন সময় এলেন কদম মস্তান। তাঁর পানি পড়া খেয়ে সবাই সুস্হ্য হয়,সবার মনোবাসনা পূর্ন হয়। এ খবর ছরিয়ে পড়তে লাগলো চারাদিকে। নিঃসন্তানের কোলে সন্তান এলো। সবাই হুমরী খেতে লাগলো কদমের দরবারে।

দিঘলী বাজারে একটা ছোট্র দোকান চালাতো মোহন্ত। সারাদিন দোকানদারী করে রাতে সবাই চলে আসতো পাগলের আস্তানায়। গভীর রাত পর্যন্ত চলতো গান বাজনা। নুরু ঢালীর হারমোনিয়ামের সুনিপুন বাজনা আর শিল্পীদের গানে পাগল ও বেশ মজা পেতেন।




মোহন্ত নামকরন

একদিন গভীর রাতে কদম ঢুকলেন আস্তানায়। দেখলেন, সবাই গভীর ঘুমে রত। কদম ডাকলেন, মোহন্ত! বাবা মোহন্ত! কে মোহন্ত? কোথায় মোহন্ত?

সবার ঘুম ভেঙে গেল। সবাই পাগলের দিকে তাকিয়ে আছে। পাগলের দৃষ্টি মোহন্তর দিকে। মোহন্তকে ইশারা করে বল্লেন, আপনাকে ডাকছি। একটা গান করেন। মোহন্ত তো হতবাক। কারন তখনো তার সাথে পাগলের সখ্যতা গড়ে উঠেনি। মোহন্ত বল্লেন, আমি তো হারমোনিয়াম বাজাতে পারিনা। পাগল বল্লেন, ঐ কোনায় গিয়া হারমোনিটা লইয়া প্যাঁ পোঁ করেন গা। আল্লায় চাইলে অইয়া যাইবোনে।

পাগলের কথা মত মোহন্ত হারমোনিয়ামের রিডে হাত দিতেই যেন এক শিহরণ অনুভব করলেন। নিজে নিজেই যেন সুর উঠে আসছে। তৎখনাত মোহন্ত হারমোনিয়াম বাজিয়ে কদমকে গান শুনালেন। মোহন্ত বুঝে গেলেন পাগলের কারিশমা। সেই থেকে আমৃত্যু তিনি কদমের সাথেই ছিলেন।

প্রিয় পাঠক, মোহন্তর আসল নাম আব্দুস সাত্তার। মূলত "মোহন্ত" নামটি কদমের দেয়া নাম।
 
জীবদ্দশায় যেমন কদমের সেবা করে কাটিয়েছেন মৃত্যুর পরেও মহামিলনের আকাংখায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে কদমপুর গ্রামে গুরুর রওজার পাশে সমাহিত হলেন !!!




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হযরত কদম আলী মস্তান (রহঃ)- জীবনী

হযরত কদম আলী মস্তান (রহঃ)- জীবনী দয়াল বাবা কদম আলী মস্তানের  জন্ম বিক্রমপুরের ডহরী নওপাড়া। আস্তানা ছিল মরহুম ছত্তর বেপারী সাহেবের বাড়ি তৎকালীন দিঘলী বাজারের পূর্ব পাশে। এই পাগলের আবির্ভাব বিক্রমপুরের মানুষের জন্য ছিল আশির্বাদের মতো। বিভিন্ন রোগ আর মহামারিতে বিক্রমপুরের মানুষেরা ছিলো দিশেহারা। ভাল ডাক্তার পাওয়া যায় না, ঔষধ কেনার পয়সা জোটেনা। কলেরা, যক্ষা, বসন্তে ভরে গেছে এলাকা। মানুষ দিশেহারা। কি ভাবে রক্ষা পাবে এ থেকে? এমন সময় এলেন কদম মস্তান। তাঁর পানি পড়া খেয়ে সবাই সুস্হ্য হয়,সবার মনোবাসনা পূর্ন হয়। এ খবর ছরিয়ে পড়তে লাগলো চারাদিকে। নিঃসন্তানের কোলে সন্তান এলো। সবাই হুমরী খেতে লাগলো কদমের দরবারে।

হযরত কদম আলী মস্তান (রহঃ) দরবার শরীফ - কীভাবে আসবেন?

 হযরত কদম আলী মস্তান (রহঃ) দরবার শরীফ - কীভাবে আসবেন?  ঢাকা পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে কদমপুর ম্যাপ— পদ্মা সেতু থেকে কদমপুর ম্যাপ— নিমতলী সেতু থেকে কদমপুর ম্যাপ— আব্দুল্লাহপুর থেকে কদমপুর ম্যাপ— ঢাকা বাবু বাজার থেকে কদমপুর ম্যাপ—